শিবির অনলাইন লাইব্রেরি
  • নীড়
  • আল কুরআন
  • আল-হাদীস
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • স্কুল পাঠ্য
  • কর্মী সিলেবাস
  • সাথী সিলেবাস
  • সদস্য সিলেবাস
  • উচ্চতর সিলেবাস
  • অডিও বই
কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • আল কুরআন
  • আল-হাদীস
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • স্কুল পাঠ্য
  • কর্মী সিলেবাস
  • সাথী সিলেবাস
  • সদস্য সিলেবাস
  • উচ্চতর সিলেবাস
  • অডিও বই
শিবির অনলাইন লাইব্রেরি

রাহে আমল – ১ম খণ্ড

অন্তর্গতঃ আল-হাদীস, কর্মী সিলেবাস, সাথী সিলেবাস
Share on FacebookShare on Twitter

সূচীপত্র

  1. গ্রন্থকারের ভূমিকা
  2. হাদীস সংকলনের ইতিহাস
  3. নিয়তের বিশুদ্ধতা
  4. ঈমানিয়াত
    1. রাসূলের প্রতি ঈমান আনার তাৎপর্য
    2. আখিরাতের প্রতি ঈমান আনার তাৎপর্য
  5. এবাদত
  6. ইমামতি
  7. যাকাত, ছদকায়ে ফেতের, ওশর
  8. রোযা
    1. ইতিকাফ
  9. হজ্জ
  10. মোয়ামালাত (লেনদেন)
  11. ব্যবসায় –বাণিজ্য
  12. ধার-কর্জ
  13. অবৈধ ওসিয়ত
  14. সুদ ও ঘুষ
  15. সামাজিক বিধান
  16. পিতামাতা ও আত্নীয় স্বজনের অধিকার
  17. স্বামী স্ত্রীর অধিকার
    1. স্ত্রীর অধিকার
    2. স্বামীর অধিকার
  18. সন্তানদের অধিকার
  19. এতীমের হক বা অধিকার
  20. অতিথির অধিকার
  21. প্রতিবেশীর অধিকার
  22. দরিদ্র লোকদের অধিকার
  23. সফরের সহযাত্রীর অধিকার
  24. রোগীর দেখাশুনা ও পরিচর্যা

সুদ ও ঘুষ

সুদের সাথে জড়িতরা অভিশপ্ত

(আরবী**********************************************)

১২৬.হযরত ইবনে মাসউদ(রা) থেকে বর্ণিত, যে সুদ খায়, যে খাওয়ায়, দু ব্যক্তি সুদের সাক্ষী হয় এবং যে ব্যক্তি এতদসংক্রান্ত বিবরণ কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ করে, তাদের সকলকে রাসূলুল্লাহ (সা) অভিসম্পাত করেছেন। (বোখারী ও মুসলিম)

ভাবনার বিষয় বটে যে, স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা) যে গুনাহর জন্য অভিসম্পাত করেন, তা কত বড় সাংঘাতিক গুনাহ! শুধু তাই নয়, নাসায়ী শরীফে বর্ণিত আছে যে, যারা জেনে শুনে সুদ খায়, খাওয়ায়, সাক্ষী হয় এবং সংশ্লিষ্ট দলীল দস্তাবেজ তৈরি করে, তাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সা) কেয়ামতের দিন অভিশাপ দেবেন। এর অর্থ হলো, এ ধরনের লোকদের জন্য (যদি তওবা না করে মারা যায়) তিনি শাফায়াত বা সুপারিশ করা তো দূরের কথা। অভিশাপ দেবেন। আল্লাহর কাছে এমন মহাপাপ থেকে পানাহ চাওয়া উচিত। লানত বা অভিশাপের অর্থ হলো ধিক্কার দেয়া ও তাড়িয়ে দেয়া।

ঘুষখোর ও ঘুষদাতা উভয়ই অভিশপ্ত

(আরবী*************************************)

১২৭. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ঘুষখোর ও ঘুষদাতা উভয়ের ওপর আল্লাহর অভিশাপ হোক। (বোখারী, মুসলিম)

শাসককে ঘুষদাতা ও ঘুষখোর শাসক উভয়ই অভিশপ্ত

(আরবী*****************************************)

১২৮.হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ শাসককে যে ঘুষ দেয় সে অভিশপ্ত। আর সেই শাসকও অভিশপ্ত যে ঘুষ নেয়। (মুনতাকা)

অন্যের হক বা অধিকার হরণ করার জন্য যে টাকা সরকারের কেরানী ও কর্মচারী কর্মকর্তাদেরকে দেয়া হয়, তাকেই ঘুষ বলা হয়। তবে নিজের ন্যায্য পাওনা আদায় করার জন্য যে অর্থ সরকারের দুর্নীতি পরায়ণ কর্মচারী কর্মকর্তাদেরকে অন্তরের সর্বাত্ন্যক ঘৃণা সহকারে বাধ্য হয়ে দিতে হয় এবং যা না দিলে নিজের ন্যায্য প্রাপ্য আদায় হয় না, সে অর্থ দেয়ার জন্য মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত হবে না, ইনশায়াল্লাহ। অবশ্য এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি যে আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত হবে না, ইনশাল্লাহ। অবশ্য এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি যে আল্লাহর দ্বীনের বিজয়ী হওয়া ও শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার অপরিহার্য্যতাই জোরদার দাবী জানায়, তাতে কোন সন্দেহ নেই।

সন্দেহজনক জিনিস ও কাজ বর্জন করা উচিত

(আরবী*********************************************)

১২৯.হযরত নুমান ইবনে বশীর (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, হালাল সুস্পষ্ট এবং হারাম সুস্পষ্ট। এ দুয়ের মাঝখানে কিছু সন্দেহজনক জিনিস রয়েছে। যে ব্যক্তি সন্দেহজনক গুনাহ বর্জন করবে, সে সুস্পষ্ট গুনাহ থেকে সহজেই রক্ষা পাবে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক গুনাহর কাজ করার দুঃসাহস দেখাবে, তার সুস্পষ্ট গুনাহর কাজে লিপ্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। গুনাহর কাজগুলো হচ্ছে আল্লাহর নিষিদ্ধ এলাকা। (এর ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নেই এবং বিনা অনুমতিতে প্রবেশ অপরাধ) যে জন্তু নিষিদ্ধ এলাকার আশপাশ দিয়ে বিচরণ করে, সে যে কোন সময় নিষিদ্ধ এলাকার ভেতরে ঢুকে পড়তে পারে। (বোখারী, মুসলিম)

রাসূলুল্লাহ (সা) এর বক্তব্যের মর্মার্থ এই যে, যে জিনিসের হারাম হওয়া অকাট্য জানা যায় না এবং হালাল হওয়াও সুস্পষ্টভাবে জানা যায় না বরং তার কতক দিক হালাল মনে হয় এবং কতক দিক হারাম মনে হয়, সে জিনিসের ধারে কাছেও ঘেঁষা মুমিনের উচিত নয়। এ ধরনের সন্দেহ জনক জিনিস বা কাজ থেকে যে ব্যক্তি সংযত হয়ে চলে, সে প্রকাশ্য সুস্পষ্ট হারাম কাজ যে করতে পারে না, তা বলাই নিষ্প্রয়োজন। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক জিনিসের অবৈধ দিকগুলো দেখেও তা গ্রহণ করে, তার এই কাজের ফল দাঁড়াবে এই যে, তার মন সুস্পষ্ট হারাম কাজ করতে বা হারাম জিনিস গ্রহণ করতে সাহসী হয়ে উঠবে। এই ধৃষ্টতা মনের খুবই বিপদজনক অবস্থা।

তাকওয়ার পরিচয়

(আরবী******************************************)

১৩০.হযরত আতিয়া সাদী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি কেবল তখনই মুত্তাকী বা আল্লাহভীরু গণ্য হতে পারে, যখন গুনাহে লিপ্ত হওয়ার ভয়ে, যাতে গুনাহ নেই তাও বর্জন করে। (তিরমিযি)

অর্থাৎ যে জিনিস মোবাহ হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে, যা করলে কোন গুনাহ হ৯য় না, কিন্তু তার শেষ সীমা গুনাহর সাথে মিলিত, সচেতন মানুষ বুঝতে পারে যে, সে যদি ঐ মোবাহ কাজের সীমানার শেষ প্রান্তে বেপরোয়া ঘুরতে থাকে, তাহলে যে কোন মুহূর্তে পা পিছলে গুনাহর মধ্যে নিপতিত হতে পারে, আর এই ভয়ে সে ঐ মোবাহ কাজ দ্বারা উপকৃত হওয়াই বর্জন করে। মনের এই অবস্থাটার নামই তাকওয়া বা খোদাভীরুতা। এ ধরনের সচেতন ও সতর্ক মনের অধিকারী ব্যক্তিই প্রকৃতপক্ষে মুত্তাকী বা খোদাভীরু। পবিত্র কোরআনের যে সব আয়াতের লক্ষ্য মানুষকে আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন থেকে বিরত রাখা, সেখানে আল্লাহ একথা বলেননি যে, আমার নির্ধারিত এই সীমাগুলো লঙ্ঘন করো না বরং বলেছেন, এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। তোমরা এগুলোর কাছেও যেওনা।

Page 14 of 24
Prev1...131415...24Next

© 2019 Shibir Online Library

কোন ফলাফল নেই
সকল ফলাফল দেখুন
  • নীড়
  • আল কুরআন
  • আল-হাদীস
  • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
  • স্কুল পাঠ্য
  • কর্মী সিলেবাস
  • সাথী সিলেবাস
  • সদস্য সিলেবাস
  • উচ্চতর সিলেবাস
  • অডিও বই

© 2019 Shibir Online Library